প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: ইউরোপে দ্বিতীয় দফায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। অনেক দেশ ফের লকডাউনসহ বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। অস্ট্রিয়াতে রাত্রীকালীন কারফিউ জারি ছাড়াও আংশিকভাবে অনেক কিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সংক্রমণ ঠেকাতে এবার দেশজুড়ে কমপক্ষে আড়াই সপ্তাহের লকডাউনে যাচ্ছে অস্ট্রিয়া।
বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী, অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কার্জ দেশটির সকল নাগরিকে ঘরের বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করা বা সংস্পর্শে না আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মঙ্গলবার থেকে লকডাউন কার্যকর হলে স্কুল বন্ধু হবে এবং ঘরে থেকে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
শুক্রবার অস্ট্রিয়ায় নতুন করে ৯ হাজার ৫৮৬ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মহামারি এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দেশটিতে এর আগে একদিনে এত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। চলতি বছরের শুরুতে প্রথম দফা প্রাদুর্ভাবের সময় দেশটির দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় এই সংখ্যা নয় গুণ বেশি।
অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুডলফ অ্যান্সকোবার বলেছেন, নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকিয়ে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে এটাই আমাদের হাতে শেষ সুযোগ। উল্লেখ্য, দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯১ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৬১ জন মারা গেছেন।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন সংক্রান্ত নতুন বিধিনিষেধের আওতায় অস্ট্রিয়ার অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট ও সেবা কার্যক্রম সমূহ বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে হেয়ার ড্রেসারগুলোও রয়েছে। সম্ভব হলে ঘরে বসে অফিসের কাজ করবেন চাকরিজীবীরা। আর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
দেশটির রাজধানী শহর ভিয়েনা ইতোমধ্যে লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জারি করা হয়েছে কারফিউ। এটা শুরু হয়েছিলে নভেম্বরের শুরুতে। চীনের পর মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব যখন ইউরোপকে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল সেই মার্চে প্রথম দেশজুড়ে লকডাউন ছিল অস্ট্রিয়ায়।
নতুন করে লকডাউনের ঘোষণার পর অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, অস্ট্রিয়ার মানুষ এটা (লকডাউন) একবার কার্যকর করে দেখিয়েছে। আমার বিশ্বাস তা আবারও তা কার্যকর করে দেখাবে।